বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদল আয়োজিত ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উজ্জাপন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদল আয়োজিত ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উজ্জাপন ইউ কে বি এন পি অফিসে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের আহবায়ক ফেরদৌস রহমানের সভাপতিত্বে, আঞ্জনা আলমের পরিচালনায় ১০ এ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাত ঘটিকায়। প্রধান অতিথি জনাব এম এ মালেক সভাপতি, ইউ কে বি এন ও বিশেষ অতিথি জনাব কয়সর এম আহমেদ সাধারণ সম্পাদক ইউ কে বি এন পি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ফ্রান্স থেকে আগত বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা আক্তার রুবী,প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার পরিকল্পনার সম্পাদক এলিজা মুন্নি,বিশেষ বক্তা উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা লাকি আক্তার।
বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ এক্স ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্স জয়েন্ট সেক্রেটারি মামুন, তুফায়েল বাসিত তপু, শেখ তপু, যুবদল প্রেসিডেন্ট রহিমুদ্দিন, যুবদল যুগ্ন সম্পাদক নুরুল আলী রিপন প্রমুখ।

শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলায়ত করেন রিনা বেগম।

প্রধান অতিথি জনাব এম এ মালেক তাঁর বক্তব্যে, আন্তর্জাতিক মহিলা দলের সম্পাদক ফ্রান্স থেকে আগত শামিমা আক্তার রুবি , বাংলাদেশ থেকে আগত জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন আজিজ মুন্নি এবং লাকি রহমান সহ সবাই কে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার জন্য ধন্যবাদ গ্যপন করেন। ইউ কে বি এন পির সাথে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন চালানোর জন্য জন্য মহিলা দল ইউ কের সকল মহিলাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

জনাব কয়সর এম আহমেদ তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাজ্য বি এন পির পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য মহিলা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন তিন বারের সফল প্রধান মন্ত্রী,দেশ নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী ,দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী , আপসহীন নেত্রী, মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে যুক্ত রাজ্য বি এন পির সাথে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অতীতের ন্যায় আপনারা ঐক্য বদ্ধ ভাবে আন্দোলন সগ্রামে সহযোগিতা যেভাবে করেছেন , যতদিন মা খালেদা জিয়ার মুক্তি না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সাথে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

আহবায়ক জনাবা ফেরদৌস রহমান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আজকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি । আজ বাংলাদেশ বি এন পি এর উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্তি আন্দোলনের কর্মসূচী ঢাকায় ১০ তারিখে ও সমস্ত বাংলাদেশে ১১ তারিখে মানব বন্ধন পালনে ইউ মহিলাদলের পক্ষ থেকে একাত্মতা ঘোষণা করছি ।
উনিশ দফার প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান, গ্রাম বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব পরিবর্তন করেছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক দর্শন , দেশ প্রেম ও মূল্যবোধ,স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদ পরিকল্পনা ও তাঁর বাস্তবায়ন, দেশ, পরিবেশ ও সর্বস্তরের মানুষের পূর্ণ বিকাশে শিশু একাডেমী, শিশু মন্ত্রণালয়, যুব মন্ত্রানালয়, মহিলা মন্ত্রানালয়, মহিলা পুলিশ, মহিলা আসন বর্ধন, কৃষি মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন।
সার্ক, মুসলিম ভাত্রিত্ত, শান্তি মিশন তাঁর অবদান, দেশ প্রেম গড়ার লক্ষ্যে হিজবুল বাহার প্রশিক্ষণ তার দূরদর্শিতার প্রমাণ রাখে। তাঁর চিন্তা ধারা এর রেখে যাওয়া কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তে জিয়ার প্রতিটি সৈনিকের দৃঢ়টা হয়ে উঠবে ইস্পাত কঠিন।

অঞ্জনা আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৯/৯/২০১৯ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী|
এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গিকার হউক
* অবিলম্বে মেডামের মুক্তি ও সুচিকিৎসা জন্য রাজপথে *নারী আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ!
*বাংলাদেশে ৭৭% নারী নির্যাতন,ধর্ষণ,হয়রানি,গৃহ ও সামাজিক ভায়োলেন্স বন্ধ করার সংগ্রামে, নানামুখি মামলা থেকে মুক্তকরণে, সব ধর্মের নারীদের সুরক্ষা দানে নারী নাগরিকদের পাশে সার্বক্ষণিকভাবে থাকা|
*স্বৈরাচার ও একনায়ক অবৈধ হাসিনা সরকার উত্খাতে গোটা দেশের নারীদের জাগিয়ে তোলা|
*নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করণে সামাজিক সচেতনতার মিশনে নামা|
*নারী ক্ষমতায়ন বাস্তবায়নে কাজ করা|
আমাদের নেতা শহীদ জিয়ার ১৯ দফা অনুসরণে প্র্যাকটিসটা জরুরী| আমাদের লৌহমানবী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ, চারিত্রিক দৃঢ়তা অনুসরণ জরুরী| দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা,চর্চা জরুরী| কোয়ালিটি মেনটেইন জরুরী|
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সবাইকে শুভেচ্ছা|

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন আজিজ মুন্নি বলেন বাংলাদেশের নারী সমাজ আজ অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছি। বাংলাদেশের মহিলাদলের সদস্যরা কেউ নিরাপদে নেই। দেশ নেত্রী মা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের কারণে তাদের অনেকেই আজ খুন, গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলার স্বীকার। অনেক নারীদের অর্থাভাবে মামলা চালানোর ক্ষমতা নেই। আপনারা যারা দেশের বাইরে আছেন এবং সাহায্য করতে সক্ষম তারা দয়া করে দেশে অবস্থিত মহিলাদলের আর্থিক সহায়তা প্রদান করুন।

আন্তর্জাতিক মহিলা দলের সম্পাদক ফ্রান্স থেকে আগত শামিমা আক্তার রুবি তাঁর বক্তব্যে বলেন দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে মা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দল মত ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের সবাই কে রাজপথে নেমে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মরিয়ম বেগম তাঁর বক্তব্যে নারী নির্যাতন , গুম, খুন বন্ধ করার আহ্বান জানান।

সৈয়দা নাসিমা তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের আদর্শ সততার উদাহরন শহীদ পেরেসিডনট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার অনুসরণে সদা প্রস্তুত থাকবো, আমাদের লৌহমানবী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ, চারিত্রিক দৃঢ়তা, অনুসরণ করবো। আমাদের নেত্রী যার সাহসী নেত্রীত্ব , আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল ও রাজনৈতিক সিষ্টাচার আমাদের শক্তি ও অনুপ্রেরনা জাগায়,কিন্তু অন্যায়ের সাথে এক বিন্দু ও আপোষ করেন না, তিনি বলেছেন,
“সমঝোতা বা আপোষ করে প্যারোলে মুক্তি নেয়ার চাইতে এইখানে, এই কারা প্রকোষ্ঠে মৃত্যুই আমার জন্য শ্রেয়”
আমরা আমাদের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন কে আরো জোরালো ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব।

মেহবুবা ফেরদৌস তাঁর বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সবাইকে এক হয়ে ভিডিও করফেরেন্স এর মাধ্যমে কর্মসূচি গ্রহণ এবং ইউরোপের সকল রাজনৈতিক দলের মহিলা এম পি দের কাছে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারা মুক্তির  ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কথা উপস্থাপন সহ আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের বর্তমান অনির্বাচিত অপোশক্তির উপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার প্রস্তাব করছি।

ইসরাত রশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐক্যের মাধ্যমে দেশ কে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ঠিক সেইভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছিনিয়ে আনতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কনভেনিং কমিটির সিনিয়র সদস্য সাবিরা লুনা , রিতু রহমান, খন্দকার কাউসার জাহান তাসমিনা, নীলা হসেইন, ফারজানা রহমান, আয়শা বেগম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র নেত্রী নাসরিন হাসান, নাদিরা হসেইন, জান্নাতুল মাওয়া জিম, জেসমিন সুলতানা ইতি, ইয়াসমিন আক্তার, পারভিন আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার নিবা, জান্নাতুল ফেরদৌস জেসমিন প্রমুখ।

কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের পর আপ্যায়ন এর ব্যবস্থা করা হয়।
অবশেষে ধন্যবাদ সম্প্রীতি ঘোষণা করে আহবায়ক ফেরদৌস রহমান অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Close Menu